১০ কোটির বেশি ভূয়া সম্পদ আড়াই কোটি টাকার মূলধনের কোম্পানিতে

পরিশোধিত মূলধন খুবই কম পুঁজিবাজারে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত হিমাদ্রির। এ কারনে ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) থেকে এসএমইতে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকেই শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি শুরু হয়। যাতে করে ৩৫ টাকার শেয়ারটি ৮ হাজার ৯৪১ টাকায় উঠে যায়। অথচ এ কোম্পানিটিতে পরিশোধিত মূলধনের কয়েকগুণ সম্পদের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি নিরীক্ষক।

উল্লিখিত সময়ে, হিমাদ্রির আর্থিক হিসাবে ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার অস্পর্শনীয় সম্পদ দেখানো হয়েছে। তবে নিরীক্ষক এ সম্পদের বাস্তবতা খুঁজে পায়নি। এছাড়া কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই বিতর্কিত সম্পদ দেখালেও তার উপর অবচয় চার্জের পলিসি গ্রহণ করেনি এখনো। এদিকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ৪৭ লাখ টাকার ক্যাপিটাল রিজার্ভ দেখিয়েছে। এ সম্পদের সত্যতাও পায়নি নিরীক্ষক। যে সম্পদ নিয়ে কোন বিস্তারিত তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

এছাড়াও পুঁজিবাজারে শ্রম আইনকে তোয়াক্কা করছে না হিমাদ্রি কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিটিতে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডে (ডব্লিউপিপিএফ) ৭৭ লাখ টাকা থাকলেও তা বিতরন করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ ওটিসি অংশ নেওয়া উল্লেখ্য, ২০২১ সালে থেকে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত হওয়া হিমাদ্রির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৩৪.২৮ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (০২ জুলাই) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৩৮৭.৯০ টাকায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button