১৮ ব্যাংকের ১৪৭ কোটি বোনাস শেয়ার পুঁজিবাজারে আসছে
পুঁজিবাজারে আসছে তালিকাভুক্ত ১৮ ব্যাংকের ১৪৭ কোটি বোনাস শেয়ার। যা নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতি ও ব্যাংকগুলোর বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনক্রমে তাদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে পাঠানো হবে। এতে ব্যাংকগুলোর ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়বে। যে শেয়ারগুলোর বর্তমানে বাজার দর রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি।
উল্লিখিত সময়ে, নগদ লভ্যাংশে কড়াকড়ি আরোপের আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ব্যবসায় ব্যাংকগুলো ২২০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৫টি বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। ওই বছরের ব্যবসায় শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছিল ১৬টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। আর ৮টি ব্যাংকের পর্ষদ নগদের পাশাপাশি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছিল। অর্থাৎ ২০১৮ সালের ব্যবসায় ২৪টি ব্যাংকের বোনাস শেয়ার শেয়ারবাজারে যোগ হয়েছিল।
এছাড়াও সর্বশেষ ২০২২ সালের ব্যবসায় তালিকাভুক্ত ২৪ ব্যাংকের পর্ষদ ১৪২ কোটি ১৮ লাখ ৪ হাজার ৪৮৪টি বোনাস শেয়ার দেওয়ার ঘোষণা করে। এতে ব্যাংকগুলোর ১ হাজার ৪২১ কোটি ৮০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪০ টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়ে। এদিকে ব্যাংকগুলোর ঘোষিত বোনাস শেয়ারগুলোর বর্তমান (০৭ মে) বাজার দর রয়েছে ৩ হাজার ৬৪৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এই শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের দেওয়া হলেও তা সমন্বয় হয়ে প্রাপ্তি প্রায় শূন্য হয়ে যায়। কারন বোনাস শেয়ার রেকর্ড ডেটের দরের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। এতে বোনাস শেয়ার পাওয়ার আগের এবং সমন্বয় পরবর্তী বোনাস শেয়ারসহ দর একই হয়ে যায়।
শাকিল রিজভী পরিচালক ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বলেন, পরিচালকদের বোনাস শেয়ার নিয়ে খামখেয়ালিমূলক সিদ্ধান্তের কারনেই বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে নগদ লভ্যাংশে কড়াকড়ি আরোপের কারনে বোনাস শেয়ার কমে এসেছে।
পুঁজিবাজারে এবারও সবচেয়ে বেশি বোনাস শেয়ার দেবে ইস্টার্ন ব্যাংক। ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ১২.৫০ শতাংশ হারে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ বোনাস শেয়ার দেবে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ৯ লাখ বোনাস শেয়ার দেবে ব্র্যাক ব্যাংক। আর সিটি ব্যাংক দেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৪৭ লাখ বোনাস শেয়ার।