বাকী ফ্লোর প্রাইস পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হওয়ার আগে উঠছে না

পুঁজিবাজারকে কাজে লাগাতে চায় সরকার দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে। এই জন্য প্রয়োজন একটি গতিশীল পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার জন্য দীর্ঘদিন পর প্রথম ধাপে ৩৫ কোম্পানি বাদে সকল কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এদিকে ২২ জানুয়ারি ১২টি কোম্পানি বাদে সকল কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়। নতুন করে বাজারে গুজব ছড়ানো হচ্ছে উঠে যাচ্ছে ১২ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। বিষয়টি সত্য নয় বলে একাধিক সূত্র সানবিডিকে নিশ্চিত করেছে। পুঁজিবাজার আরও স্থিতিশীল হওয়ার আগ পর্যন্ত ১২টি কোম্পানির ফ্লোর উঠছে না।

এছাড়াও ১২ টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন আহমেদ সানবিডিকে বলেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা বিবেচনা করে এবং স্বার্থকে মাথায় নিয়েই পুঁজিবাজারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বিএসইসি। কোনো কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হোক এমন কোনো সিদ্ধান্ত বিএসইসি বিগত দিনে নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও নেবে না। যতক্ষণ বাজার স্থিতিশীল না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত যে ১২টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস এখনো তোলা হয়নি সেই কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তোলা হবে না। এটাই বিএসইসির সিদ্ধান্ত। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বিএসইসি এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।

এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি রেখে বাকি সব কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল কমিশন। যার পরে ২ কার্যদিবসের মাথায় ওই ৩৫টির মধ্য থেকে ১২টি রেখে ২৩টি থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিল কমিশন।

অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ ফ্লোর প্রাইস আছে যে ১২টি কোম্পানির আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, বেক্সিমকো, বিএসআরএম লি: গ্রামীণ ফোন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ওরিয়র ফার্মা, রেনাটা লিমিটেড, রবি এবং শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button