কোম্পানিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,
আলোচ্য সময়, গত বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ১ পয়সা করে লাভ বা মুনাফা করেছিল। সেখানে এ বছরের প্রথম ছয় মাসে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। লোকসানের কারণ সম্পর্কে কোম্পানিটি জানিয়েছে, ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনিং বেড়ে যাওয়ায় মুনাফা কমে গেছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির ঋণের বড় অংশই খেলাপির ঝুঁকিতে পড়েছে বা খেলাপি হয়ে গেছে। সাধারণত যেসব ঋণে খেলাপির ঝুঁকি বেড়ে যায়, সেসব ঋণের বিপরীতে প্রভিশনিং করতে হয়।
এছারাও মুনাফা কমে যাওয়ার পাশাপাশি ফনিক্স ফিন্যান্সের নগদ অর্থের প্রবাহও ঋণাত্মক হয়ে গেছে। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাস শেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ কমে ১ টাকা ৫৩ পয়সা ঋণাত্মক হয়ে গেছে। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ইতিবাচক ধারায়। নগদ অর্থের প্রবাহ ঋণাত্মক হয়ে যাওয়া মানে কোম্পানিটি তারল্যসংকটে ভুগছে। তারল্যসংকটের কারণ হিসেবে কোম্পানিটি বলছে, একদিকে ঋণ বেড়েছে অন্যদিকে আমানত কমেছে। এতে করে তারা নগদ ঘাটতিতে পড়েছে।
অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে অংশ নেওয়া বড় ধরনের লোকসান করলেও পুঁজিবাজারে আজ রোববার কোম্পানিটির শেয়ারের দামে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে এটির শেয়ারের দাম পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিটির শেয়ার এই দামে আটকে আছে।